বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আ.পন্থি কর্মকর্তারা কৌশলগত কারনে নতুন মোড়কে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘স্বাধীনতা পরিষদের নাম বাদ দিয়ে নতুন নামে তারা আবারো সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী আ.পন্থী কিছু কর্মকর্তা ২০১৮ সালে ‘স্বাধীনতা পরিষদ’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটায়। অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার আমিনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সহকারী রেজিস্ট্রার আল-আমিনকে সদস্যসচিব করে গতবছর ৭ মার্চ ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন ওই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মো. সামসুল হক উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, খন্দকার গোলাম মোস্তফা অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, রিয়াজুল ইসলাম উপ পরিচালক, মো. আমিরুল ইসলাম উপ-পরিচালক, তানজুরুল ইসলাম উপ-রেজিষ্ট্রার, এইচ এম ইকবাল উপ রেজিস্ট্রার, আতিকুর রহমান উপ রেজিস্ট্রার, আনোয়ার হোসেন সহকারী রেজিস্ট্রার, কমলেশ চন্দ্র সরকার সহকারী প্রকৌশলী, সিরাজুল ইসলাম সহকারী রেজিস্ট্রার, ওয়বাইদুর রহমান সহকারী রেজিস্ট্রার, শাহরিয়ার আকিফ সহকারী প্রকৌশলী, মনজুরুল ইসলাম সহকারী কম্পিউটার প্রোগ্রামার।
কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব ওই সময় গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাধীনতা পরিষদের সব সদস্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ডে মেধা দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবে বলে মনে করছি।
এদিকে গত ৫ আগস্ট আ.লীগ সরকারের পতনের পর এই সংগঠনটি একটু কোণাঠাসায় পড়ে। ফলে প্রশাসনে আধিপত্য ধরে রাখতে স্বাধীনতা পরিষেদের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামে আত্মপ্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।
সংগঠনের একাধিক নেতা জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতি সামাল দিতেই মূলত সংগঠনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অচিরেই নতুন নামে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো। নতুন নাম কী হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে একজন বলেন, ‘কর্মকর্তা সমিতি’ করার একটি প্রস্তাবনা আছে।
এ বিষয়ে ‘স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিনুর রহমান বলেন, আমাদের এই সংগঠন এক সময় ছিল, কিন্তু এখন নেই। শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের এজহার নামীয় যে আসামিরা এবং সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হাসিবুর রশিদের দোসররা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে নিজেদের রক্ষা করার জন্য এগুলো ছড়াচ্ছে।
এই ধরনের সংগঠনের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কারণে নতুন করে এ ধরনের সংগঠন করার সুযোগও নেই।
টিএইচ